আসসালামুআলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।
আসুন নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই এর পর্ব ১ এ বনসাই এর সূচনা বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম। আপনাদের কাছে মতামত চেয়েছিলাম এ বিষয়ে এখানে টিউন করা যাবে কি না। যারা সেখানে মতামত দিয়ে টিউনমেন্ট করেছেন তারা সবাই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আপনাদের আগ্রগের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে এই টিউনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করলাম। ১ম পর্বে আমরা জেনেছিলাম “বনসাই এর পরিচীতি” এখন আমরা জানব বনসাই এর প্রকার ভেদ।
আপনি যখন নিজে বাড়িতে বনসাই বানাবেন তখন ঠিক কি ধরনের বনসাই বানাবেন তা নিশ্চই আপনাতে ঠিক করে নিতে হবে। আপনারা যারা বনসাই এর ব্যাবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্যন করতে চান তাদের মোটামুটি সব ধরনের বনসাই বানানো শিখতে হবে । আর যারা শখের বসে শিখতে চান তারা এখান থেকে যে কোন একটি শিখে নিতে পারেন।
সব বনসাই বানানোর প্রকৃয়া একই রকম শুধু আকৃতি দ্বানের ক্ষেত্রে প্রসেসিং আলাদা। আমি এখানে যত ধরনের বনসাই এর ব্যাপারে আলোচনা করব তার সবগুলোর আকৃতিদ্বানের বিষয়েও পরবর্তিতে আলোচনা করা হবে।
এবার আসুন যানি আকৃতির উপর ভিত্তি করে বনসাই কে কত ভাগে ভাগ করা যায়
আকৃতির উপর ভিত্তি করে মূলত বনসাই বিভিন্ন প্রকার হয়। তবে প্রধানত ১১ ধরনের বনসাই এর চাহিদা ব্যাপক এগুলো হলঃ
১। টুইনট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে দুটি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে টুইনট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন
২। ট্রিপল ট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে তিনটি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে ট্রিপল ট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন
৩। মাল্টিট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে তিনটির বেশি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে মাল্টিট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন
৪। ডেড উড বনসাইঃ এক্ষেত্রে বনসাই এর পাতা সবুজ হলেও কান্ড মড়া কান্ডের ন্যায় সাদা বা অন্য কোন মৃত বর্নের হয়ে থাকে। এরূপ বনসাই কে ডেড উড বনসাই বলে। চিত্র দেখুন
৫। ফরমাল বনসাইঃ সাধারন মানের যেসব বনসাই বানানো হয় সেগুলোকে ফরমাল বনসাই বলাহয়। ফরমাল বনসাই এর কান্ড সাধারনত সোজা হয়।
৬। এনফর্মাল বনসাইঃ ফরমাল ও এনফরমাল বনসাই প্রায় একই তবে এনফরমাল বনসাই এর কান্ড গুলোতে সাধারনত ভাজ থাকে..
৭। লিটারেটি বনসাইঃ এধরনের বনসাই এ কান্ড সাধারনত সরু হয় এবং মাথার ভাজ থাকে ও সামান্য পরিমানে পত্রক দেখা যায়।
৮। রুট এক্সপোজ বনসাইঃ এধরনের বনসাই তৈরির ক্ষেত্রে সাধারনত শিকরের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে গাছের প্রায় অর্ধেক অংশে শিকর প্যাচানো অবস্থায় থাকে।
৯। রুট ওভার রকঃ এধরনের বনসায়েও মূলেন উপর বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এধরনের বনসাইয়ে মুল কোন অবলম্বনে ঘড়ির কাটার দিকে প্যাচানো থাকে।
১০। সেমিচ্যাসিড বনসাইঃ এধরনের বনসাই এ বৃক্ষ প্রথমে টব হতে সামান্য উপরে উঠে আশে ও পরবর্তিতে তা এক পাশে হেলে গিয়ে নিচের দিকে নামতে থাকে অনেকটা কোন পাহাড়ের ঢালে যে ভাবে গাছ নিচের দিকে নেমে আসে।
১১। উইন্ডস্টেপ বনসাইঃ বড় ধরনের বায়ু প্রবাহ বা ঝড়ের মধ্যে পড়লে সমগ্র বৃক্ষ যেমন বাতাসের ধাক্কায় বাতাসের দিকে হেলে যায় ঠিক তেমন গঠনের বনসাইকে উইন্ডস্টেপ বনসাই বলে।
উপরে বর্নিত বনসাই এর প্রকরন গুলো ছাড়াও আরও অনেক প্রকারের বনসাই আছে যা নিয়ে সারা জীবন লিখলেও আসলে শেষ হবে না। আমি মূলত এখানে ধারাবাহিক ভাবে যে বনসাই গুলো নিয়ে আলোচনা করব সে গুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
টিউনে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং টিউনমেন্ট করে আপনাদের অনুভুতি জানাবেন যা আমাকে পরের টিউন গুলো লিখতে অনুপ্রেরনা যোগাবে।
আমার ফেসবুক পেজ।।আমার ব্লগ।।আমার স্কাইপ আইডি>shakilsimul
আজ এপর্যন্তই আগামি পর্বে বনসাই তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরন নিয়ে আরোচনা করব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে টিউনটি পড়ার জন্য।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন