পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আসসালামুআলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।
আমি উদ্ভিদ বিঞ্জানের ছাত্র। এতদিন টেকনোলজি নিয়েই লেখালেখি করেছি আজ ভাবলাম আমার লেখাপড়ার বিসয়ের উপর একটা ধারাবাহীক টিউন শুরু করি। তো আর কি শুরু করলাম আমার ১ম ধারাবাহীক টিউন- শৈল্পিক সাজে বনসাই।
বনসাই এই ব্যাপারটা আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেনা। সে কারনেই শুরুতেই থাকছে বনসাই পরিচিতী।

বনসাই কি?
বনসাই এর পারিভাষিক অর্থ জীবন্ত ভাস্কর্য৷ বনসাই এর ইতিহাস বহু পুরানো ।ধারণা করা হয় প্রায় ২০০০ বৎসর পূর্বে চীনে এর শুরু হয় এবং পরবর্তীতে চীনের অন্যান্য অঞ্চল, জাপান, কোরিয়া ও ভিয়েতনামে বিস্তৃতি লাভ করে । বাংলাদেশেও এখন উন্নত মানের বনসাই কালচার চালু রয়েছে এখন এসব বিদেশেও রপ্তানি করা যায় ৷

বনসাই বলতে বুঝায় বৃক্ষ জাতীয় যে কোন গাছকে (ফলজ ও বনজ) তার আকৃতি ঠিক রেখে সেগুলোর নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যসহ বিভিন্ন প্রকার টবে ধারণ করা৷ বনসাই চাষের মাধ্যমে অল্প পরিসরে প্রকৃতিকে উপলব্ধি করা যায়৷

বড় গাছকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় যত্ন করে নিদিষ্ঠ আকার প্রদান করা বা ছোট করার নাম বনসাই। যেমন: বটবৃক্ষের মতো বড় গাছকে সুদৃশ্য মাটির টবে লাগানো হয়। এবং নানা রকম শৈল্পিক কার্যক্রমে তাকে বাড়তে দেয়া হল না। কয়েক বৎসরের পরিচর্যায় ছোট্ট মাটির টবের বট গাছ পেল বামন বটের রূপ। কান্ড, ডাল-পালা, পাতা সবই পূর্ণাঙ্গ বটের মত, শুধু আকার আয়তনে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র। বৃক্ষের সর্বত্র বয়সের চিহ্ন। এমনকি সরু সরু তরুলতাও ঝুলতে লাগলো, বটবৃক্ষের ডাল থেকে। এ রকম একটি টবে জন্মানো বটবৃক্ষ বাড়ির বারান্দায় কিংবা সুসজ্জিত ড্রয়িং রুমে রেখে দিলে কার না নয়ন জুড়াবে?
বট গাছের বনসাই
 এই যে আকার আয়তনে ছোট অথচ এর সবকিছুই জমিতে লাগানো বিশাল বৃক্ষর মত স্বাভাবিক মনমুগ্ধকর, নয়নলোভন রূপ-এরই নাম ‘বনসাই’!

বনসাই এর উদ্ভব চিন-এ হলেও এর প্রথম বিস্তার লাভ হয় জাপানে এমনকি বনসাই নাম করনও হয় জাপানে এবং ‘বনসাই’ শব্দ টিও জাপানী শব্দ। শত শত বছর ধরে জাপানীরা বনসাই সম্মন্ধে হাতে-কলমে চর্চা করে আসছে। বনসাই শিল্পে সারা বিশ্বে এখনো তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুন্ন রেখে চলছে। জাপানীদের অনেক পরিবার বংশগতভাবে এর চর্চা করে চলছে। যাহোক বনসাই বিষয়ে আমাদের দেশের খুব সীমিত সংখ্যক মানুষ জানলেও অধুনা অনুষ্ঠিত বৃক্ষমেলা ও বিভিন্ন নার্সারীতে এর উপস্থিতি সংস্কৃতি মনস্ক মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তকে বেশ আগ্রহী করে তুলেছে।

যাই হোক হয়তো এমন দিন বেশি দূরে নয় যে, শহর অঞ্চলের প্রতিটি সৌন্দর্যমনস্ক পরিবারের বারান্দায় কিংবা ড্রয়িংরুমে অন্ততঃ একটি বনসাই শোভা পাবে। সেক্ষেত্রে নিজে তৈরি না করলেও নার্সারী থেকে বিত্তবান ও সৌখিন লোকেরা কিনতে ভল করবে না।

 বনসাই অত্যন্ত দামী তরুশিল্প। বনসাই করা সময় সাপেক্ষ এবং এক মহান শিল্পকর্ম। এর জন্য সারা বছর ধরে পরিচর্যা করতে হয়। অনেকের মতে, বনসাই হলো এমন এক মহান শিল্পকর্ম যার জন্য দরকার কবির মত কল্পনাশক্তি, হস্তশিল্পীর মত সুদক্ষ হাতের কাজ, চিত্রশিল্পীর মত দৃষ্টির গভীরতা এবং অভিজ্ঞ মালীর মত চাষাবাদ সম্পর্কিত গভীর জ্ঞান। বনসাই এক অনন্য শিল্পকর্ম। তবে এ শিল্প সম্পুর্ণ জীবন্ত। অন্য প্রাণহীন শিল্পের সঙ্গে এটুকুই শুধু প্রভেদ।

বনসাইয়ের দরদাম নির্ভর করে গাছের বয়স ও গঠনের ওপর। সর্বনিম্ন তিন হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকায় বনসাই ক্রয় করতে পারেন। তবে মোটামুটি ভালোমানের একটি বনসাইয়ের জন্য ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা বাজেট রাখতে পারেন। বিভিন্ন বনসাই প্রদর্শনী, কৃষিমেলা এমনকি বনসাই প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকেও আপনি বনসাই সংগ্রহ করতে পারেন।


বনসাই এর কিছু ছবি

অনেকেই হয়তো বলবেন এটা একটা টেক ব্লগ এখানে এধরনের টিউন করা ঠিক হয়নি। তার পরও আমি টিউন করেছি কারন আমার মনেহয় বনসাই টেকনোলজির সাথে কোন না কোন ভাবে সম্পৃক্ত। তারপরও আপনাদের যদি মনে হয় এ বিসয়ে এখানে টিউন করা ঠিক হবে না তা হলে প্লিজ টিউনমেনট করে জানাবেন আর হ্যা ভালো লাগলেও জানাবেন। এক কথায় আমি আপনাদের মতামত চাইছি এই ধারাবাহিকের পরবর্তি পার্ট গুলো লেখার জন্য।

যাদের টিটি তে আইডি নেই তারা আমাকে আমার ফেসবুকে জানাতে পারেন বা আমার ব্লগে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

                      আমার ফেসবুক পেজ।।আমার ব্লগ।।আমার স্কাইপ আইডি>shakilsimul





0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blog Archive

শাকিল আহম্মেদ শিমুল-দূরন্ত বালক. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Popular Posts

Recent Posts

Text Widget