পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আসসালামুআলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।
আসুন নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই এর পর্ব ১ এ বনসাই এর সূচনা বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম। আপনাদের কাছে মতামত চেয়েছিলাম এ বিষয়ে এখানে টিউন করা যাবে কি না। যারা সেখানে মতামত দিয়ে টিউনমেন্ট করেছেন তারা সবাই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আপনাদের আগ্রগের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে এই টিউনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করলাম। ১ম পর্বে আমরা জেনেছিলাম “বনসাই এর পরিচীতি” এখন আমরা জানব বনসাই এর প্রকার ভেদ।
আপনি যখন নিজে বাড়িতে বনসাই বানাবেন তখন ঠিক কি ধরনের বনসাই বানাবেন তা নিশ্চই আপনাতে ঠিক করে নিতে হবে। আপনারা যারা বনসাই এর ব্যাবসার মাধ্যমে অর্থ  উপার্যন করতে চান তাদের মোটামুটি সব ধরনের বনসাই বানানো শিখতে হবে । আর যারা শখের বসে শিখতে চান তারা এখান থেকে যে কোন একটি শিখে নিতে পারেন।
সব বনসাই বানানোর প্রকৃয়া একই রকম শুধু আকৃতি দ্বানের ক্ষেত্রে প্রসেসিং আলাদা। আমি এখানে যত ধরনের বনসাই এর ব্যাপারে আলোচনা করব তার সবগুলোর আকৃতিদ্বানের বিষয়েও পরবর্তিতে আলোচনা করা হবে।
এবার আসুন যানি আকৃতির উপর ভিত্তি করে বনসাই কে কত ভাগে ভাগ করা যায়
আকৃতির উপর ভিত্তি করে মূলত বনসাই বিভিন্ন প্রকার হয়। তবে প্রধানত ১১ ধরনের বনসাই এর চাহিদা ব্যাপক এগুলো হলঃ
১। টুইনট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে দুটি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে টুইনট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন
২। ট্রিপল ট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে তিনটি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে ট্রিপল ট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন
ট্রিপলট্রাংক বনসাই
৩। মাল্টিট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে তিনটির বেশি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে মাল্টিট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন
মাল্টিট্রাংক
৪। ডেড উড বনসাইঃ এক্ষেত্রে বনসাই এর পাতা সবুজ হলেও কান্ড মড়া কান্ডের ন্যায় সাদা বা অন্য কোন মৃত বর্নের হয়ে থাকে। এরূপ বনসাই কে ডেড উড বনসাই বলে। চিত্র দেখুন
৫। ফরমাল বনসাইঃ সাধারন মানের যেসব বনসাই বানানো হয় সেগুলোকে ফরমাল বনসাই বলাহয়। ফরমাল বনসাই এর কান্ড সাধারনত সোজা হয়।
ফরমাল বনসাই
৬। এনফর্মাল বনসাইঃ ফরমাল ও এনফরমাল বনসাই প্রায় একই তবে এনফরমাল বনসাই এর কান্ড গুলোতে সাধারনত ভাজ থাকে..
এনফরমাল বনসাই
৭। লিটারেটি বনসাইঃ এধরনের বনসাই এ কান্ড সাধারনত সরু হয় এবং মাথার ভাজ থাকে ও সামান্য পরিমানে পত্রক দেখা যায়।
লিটারেটি বনসাই
৮। রুট এক্সপোজ বনসাইঃ এধরনের বনসাই তৈরির ক্ষেত্রে সাধারনত শিকরের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে গাছের প্রায় অর্ধেক অংশে শিকর প্যাচানো অবস্থায় থাকে।
রুটএক্সপোজ
৯। রুট ওভার রকঃ এধরনের বনসায়েও মূলেন উপর বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এধরনের বনসাইয়ে মুল কোন অবলম্বনে ঘড়ির কাটার দিকে প্যাচানো থাকে।
১০। সেমিচ্যাসিড বনসাইঃ এধরনের বনসাই এ বৃক্ষ প্রথমে টব হতে সামান্য উপরে উঠে আশে ও পরবর্তিতে তা এক পাশে হেলে গিয়ে নিচের দিকে নামতে থাকে অনেকটা কোন পাহাড়ের ঢালে যে ভাবে গাছ নিচের দিকে নেমে আসে।
১১। উইন্ডস্টেপ বনসাইঃ বড় ধরনের বায়ু প্রবাহ বা ঝড়ের মধ্যে পড়লে সমগ্র বৃক্ষ যেমন বাতাসের ধাক্কায় বাতাসের দিকে হেলে যায় ঠিক তেমন গঠনের বনসাইকে উইন্ডস্টেপ বনসাই বলে।

উপরে বর্নিত বনসাই এর প্রকরন গুলো ছাড়াও আরও অনেক প্রকারের বনসাই আছে যা নিয়ে সারা জীবন লিখলেও আসলে শেষ হবে না। আমি মূলত এখানে ধারাবাহিক ভাবে যে বনসাই গুলো নিয়ে আলোচনা করব সে গুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। 
টিউনে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং টিউনমেন্ট করে আপনাদের অনুভুতি জানাবেন যা আমাকে পরের টিউন গুলো লিখতে অনুপ্রেরনা যোগাবে।

 আমার ফেসবুক পেজ।।আমার ব্লগ।।আমার স্কাইপ আইডি>shakilsimul

আজ এপর্যন্তই আগামি পর্বে বনসাই তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরন নিয়ে আরোচনা করব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে টিউনটি পড়ার জন্য।
আসসালামুআলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।
আসুন নিজেই বানাই চমৎকার বনসাই এর পর্ব ১ এ বনসাই এর সূচনা বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম। আপনাদের কাছে মতামত চেয়েছিলাম এ বিষয়ে এখানে টিউন করা যাবে কি না। যারা সেখানে মতামত দিয়ে টিউনমেন্ট করেছেন তারা সবাই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আপনাদের আগ্রগের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে এই টিউনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করলাম। ১ম পর্বে আমরা জেনেছিলাম “বনসাই এর পরিচীতি” এখন আমরা জানব বনসাই এর প্রকার ভেদ।
আপনি যখন নিজে বাড়িতে বনসাই বানাবেন তখন ঠিক কি ধরনের বনসাই বানাবেন তা নিশ্চই আপনাতে ঠিক করে নিতে হবে। আপনারা যারা বনসাই এর ব্যাবসার মাধ্যমে অর্থ  উপার্যন করতে চান তাদের মোটামুটি সব ধরনের বনসাই বানানো শিখতে হবে । আর যারা শখের বসে শিখতে চান তারা এখান থেকে যে কোন একটি শিখে নিতে পারেন।
সব বনসাই বানানোর প্রকৃয়া একই রকম শুধু আকৃতি দ্বানের ক্ষেত্রে প্রসেসিং আলাদা। আমি এখানে যত ধরনের বনসাই এর ব্যাপারে আলোচনা করব তার সবগুলোর আকৃতিদ্বানের বিষয়েও পরবর্তিতে আলোচনা করা হবে।
এবার আসুন যানি আকৃতির উপর ভিত্তি করে বনসাই কে কত ভাগে ভাগ করা যায়
আকৃতির উপর ভিত্তি করে মূলত বনসাই বিভিন্ন প্রকার হয়। তবে প্রধানত ১১ ধরনের বনসাই এর চাহিদা ব্যাপক এগুলো হলঃ
১। টুইনট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে দুটি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে টুইনট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন
২। ট্রিপল ট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে তিনটি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে ট্রিপল ট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন
ট্রিপলট্রাংক বনসাই
৩। মাল্টিট্রাংক বনসাইঃ বনসাই বৃক্ষ টবের উপর বা বৃক্ষের গোড়া হতে তিনটির বেশি কান্ডের সৃষ্টি করলে তাকে মাল্টিট্রাংক বনসাই বলা হয়। নিচের চিত্র দেখুন
মাল্টিট্রাংক
৪। ডেড উড বনসাইঃ এক্ষেত্রে বনসাই এর পাতা সবুজ হলেও কান্ড মড়া কান্ডের ন্যায় সাদা বা অন্য কোন মৃত বর্নের হয়ে থাকে। এরূপ বনসাই কে ডেড উড বনসাই বলে। চিত্র দেখুন
৫। ফরমাল বনসাইঃ সাধারন মানের যেসব বনসাই বানানো হয় সেগুলোকে ফরমাল বনসাই বলাহয়। ফরমাল বনসাই এর কান্ড সাধারনত সোজা হয়।
ফরমাল বনসাই
৬। এনফর্মাল বনসাইঃ ফরমাল ও এনফরমাল বনসাই প্রায় একই তবে এনফরমাল বনসাই এর কান্ড গুলোতে সাধারনত ভাজ থাকে..
এনফরমাল বনসাই
৭। লিটারেটি বনসাইঃ এধরনের বনসাই এ কান্ড সাধারনত সরু হয় এবং মাথার ভাজ থাকে ও সামান্য পরিমানে পত্রক দেখা যায়।
লিটারেটি বনসাই
৮। রুট এক্সপোজ বনসাইঃ এধরনের বনসাই তৈরির ক্ষেত্রে সাধারনত শিকরের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে গাছের প্রায় অর্ধেক অংশে শিকর প্যাচানো অবস্থায় থাকে।
রুটএক্সপোজ
৯। রুট ওভার রকঃ এধরনের বনসায়েও মূলেন উপর বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এধরনের বনসাইয়ে মুল কোন অবলম্বনে ঘড়ির কাটার দিকে প্যাচানো থাকে।
১০। সেমিচ্যাসিড বনসাইঃ এধরনের বনসাই এ বৃক্ষ প্রথমে টব হতে সামান্য উপরে উঠে আশে ও পরবর্তিতে তা এক পাশে হেলে গিয়ে নিচের দিকে নামতে থাকে অনেকটা কোন পাহাড়ের ঢালে যে ভাবে গাছ নিচের দিকে নেমে আসে।
১১। উইন্ডস্টেপ বনসাইঃ বড় ধরনের বায়ু প্রবাহ বা ঝড়ের মধ্যে পড়লে সমগ্র বৃক্ষ যেমন বাতাসের ধাক্কায় বাতাসের দিকে হেলে যায় ঠিক তেমন গঠনের বনসাইকে উইন্ডস্টেপ বনসাই বলে।

উপরে বর্নিত বনসাই এর প্রকরন গুলো ছাড়াও আরও অনেক প্রকারের বনসাই আছে যা নিয়ে সারা জীবন লিখলেও আসলে শেষ হবে না। আমি মূলত এখানে ধারাবাহিক ভাবে যে বনসাই গুলো নিয়ে আলোচনা করব সে গুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। 
টিউনে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং টিউনমেন্ট করে আপনাদের অনুভুতি জানাবেন যা আমাকে পরের টিউন গুলো লিখতে অনুপ্রেরনা যোগাবে।

 আমার ফেসবুক পেজ।।আমার ব্লগ।।আমার স্কাইপ আইডি>shakilsimul

আজ এপর্যন্তই আগামি পর্বে বনসাই তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরন নিয়ে আরোচনা করব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে টিউনটি পড়ার জন্য।

বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আসসালামুআলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।
আমি উদ্ভিদ বিঞ্জানের ছাত্র। এতদিন টেকনোলজি নিয়েই লেখালেখি করেছি আজ ভাবলাম আমার লেখাপড়ার বিসয়ের উপর একটা ধারাবাহীক টিউন শুরু করি। তো আর কি শুরু করলাম আমার ১ম ধারাবাহীক টিউন- শৈল্পিক সাজে বনসাই।
বনসাই এই ব্যাপারটা আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেনা। সে কারনেই শুরুতেই থাকছে বনসাই পরিচিতী।

বনসাই কি?
বনসাই এর পারিভাষিক অর্থ জীবন্ত ভাস্কর্য৷ বনসাই এর ইতিহাস বহু পুরানো ।ধারণা করা হয় প্রায় ২০০০ বৎসর পূর্বে চীনে এর শুরু হয় এবং পরবর্তীতে চীনের অন্যান্য অঞ্চল, জাপান, কোরিয়া ও ভিয়েতনামে বিস্তৃতি লাভ করে । বাংলাদেশেও এখন উন্নত মানের বনসাই কালচার চালু রয়েছে এখন এসব বিদেশেও রপ্তানি করা যায় ৷

বনসাই বলতে বুঝায় বৃক্ষ জাতীয় যে কোন গাছকে (ফলজ ও বনজ) তার আকৃতি ঠিক রেখে সেগুলোর নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যসহ বিভিন্ন প্রকার টবে ধারণ করা৷ বনসাই চাষের মাধ্যমে অল্প পরিসরে প্রকৃতিকে উপলব্ধি করা যায়৷

বড় গাছকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় যত্ন করে নিদিষ্ঠ আকার প্রদান করা বা ছোট করার নাম বনসাই। যেমন: বটবৃক্ষের মতো বড় গাছকে সুদৃশ্য মাটির টবে লাগানো হয়। এবং নানা রকম শৈল্পিক কার্যক্রমে তাকে বাড়তে দেয়া হল না। কয়েক বৎসরের পরিচর্যায় ছোট্ট মাটির টবের বট গাছ পেল বামন বটের রূপ। কান্ড, ডাল-পালা, পাতা সবই পূর্ণাঙ্গ বটের মত, শুধু আকার আয়তনে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র। বৃক্ষের সর্বত্র বয়সের চিহ্ন। এমনকি সরু সরু তরুলতাও ঝুলতে লাগলো, বটবৃক্ষের ডাল থেকে। এ রকম একটি টবে জন্মানো বটবৃক্ষ বাড়ির বারান্দায় কিংবা সুসজ্জিত ড্রয়িং রুমে রেখে দিলে কার না নয়ন জুড়াবে?
বট গাছের বনসাই
 এই যে আকার আয়তনে ছোট অথচ এর সবকিছুই জমিতে লাগানো বিশাল বৃক্ষর মত স্বাভাবিক মনমুগ্ধকর, নয়নলোভন রূপ-এরই নাম ‘বনসাই’!

বনসাই এর উদ্ভব চিন-এ হলেও এর প্রথম বিস্তার লাভ হয় জাপানে এমনকি বনসাই নাম করনও হয় জাপানে এবং ‘বনসাই’ শব্দ টিও জাপানী শব্দ। শত শত বছর ধরে জাপানীরা বনসাই সম্মন্ধে হাতে-কলমে চর্চা করে আসছে। বনসাই শিল্পে সারা বিশ্বে এখনো তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুন্ন রেখে চলছে। জাপানীদের অনেক পরিবার বংশগতভাবে এর চর্চা করে চলছে। যাহোক বনসাই বিষয়ে আমাদের দেশের খুব সীমিত সংখ্যক মানুষ জানলেও অধুনা অনুষ্ঠিত বৃক্ষমেলা ও বিভিন্ন নার্সারীতে এর উপস্থিতি সংস্কৃতি মনস্ক মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তকে বেশ আগ্রহী করে তুলেছে।

যাই হোক হয়তো এমন দিন বেশি দূরে নয় যে, শহর অঞ্চলের প্রতিটি সৌন্দর্যমনস্ক পরিবারের বারান্দায় কিংবা ড্রয়িংরুমে অন্ততঃ একটি বনসাই শোভা পাবে। সেক্ষেত্রে নিজে তৈরি না করলেও নার্সারী থেকে বিত্তবান ও সৌখিন লোকেরা কিনতে ভল করবে না।

 বনসাই অত্যন্ত দামী তরুশিল্প। বনসাই করা সময় সাপেক্ষ এবং এক মহান শিল্পকর্ম। এর জন্য সারা বছর ধরে পরিচর্যা করতে হয়। অনেকের মতে, বনসাই হলো এমন এক মহান শিল্পকর্ম যার জন্য দরকার কবির মত কল্পনাশক্তি, হস্তশিল্পীর মত সুদক্ষ হাতের কাজ, চিত্রশিল্পীর মত দৃষ্টির গভীরতা এবং অভিজ্ঞ মালীর মত চাষাবাদ সম্পর্কিত গভীর জ্ঞান। বনসাই এক অনন্য শিল্পকর্ম। তবে এ শিল্প সম্পুর্ণ জীবন্ত। অন্য প্রাণহীন শিল্পের সঙ্গে এটুকুই শুধু প্রভেদ।

বনসাইয়ের দরদাম নির্ভর করে গাছের বয়স ও গঠনের ওপর। সর্বনিম্ন তিন হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকায় বনসাই ক্রয় করতে পারেন। তবে মোটামুটি ভালোমানের একটি বনসাইয়ের জন্য ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা বাজেট রাখতে পারেন। বিভিন্ন বনসাই প্রদর্শনী, কৃষিমেলা এমনকি বনসাই প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকেও আপনি বনসাই সংগ্রহ করতে পারেন।


বনসাই এর কিছু ছবি

অনেকেই হয়তো বলবেন এটা একটা টেক ব্লগ এখানে এধরনের টিউন করা ঠিক হয়নি। তার পরও আমি টিউন করেছি কারন আমার মনেহয় বনসাই টেকনোলজির সাথে কোন না কোন ভাবে সম্পৃক্ত। তারপরও আপনাদের যদি মনে হয় এ বিসয়ে এখানে টিউন করা ঠিক হবে না তা হলে প্লিজ টিউনমেনট করে জানাবেন আর হ্যা ভালো লাগলেও জানাবেন। এক কথায় আমি আপনাদের মতামত চাইছি এই ধারাবাহিকের পরবর্তি পার্ট গুলো লেখার জন্য।

যাদের টিটি তে আইডি নেই তারা আমাকে আমার ফেসবুকে জানাতে পারেন বা আমার ব্লগে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

                      আমার ফেসবুক পেজ।।আমার ব্লগ।।আমার স্কাইপ আইডি>shakilsimul





আসসালামু আলাইকুম  কেমন আছেন সবাই?
আমি ভালো । আসলে লেখাপড়ার চাপ আর নানান কাজে লেখালেখির তেমন সময় হয়ে উঠে না। তবুও চেষ্টা করি আপনাদের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর। তবে হ্যা লেখালেখি না করলেও নিয়মিত টিটি ব্রউজ কিন্তু ঠিকই করা হয়। যাই হোক মূল কথায় আসি। আসলে আজ আমার ২৩ তম জন্মদিন। কিছু একটা লিখতে চাইছিলাম তবে ভালো কোন কনসেপ্ট পাচ্ছিলাম না। অবশেষে ভাবলাম যা পাই তাই লিখব তাই বসে গেলাম......লিখতেই হবে।
আমি এখন আপনাদের সাথে একটি এন্ড্রয়েড এপ্স শেয়ার করব। অবস্য এই এপ্সটি এর আগেও অনেকেই শেয়ার করেছে হয়তো তবে আমার মত করে এর কার্যপদ্ধতি কেউ বর্ননা করেছে বলে মনে হয় না। তাহলে চলুন প্রথমেই দেখেনিই কি কি করতে পারবেন এই এপ্স দিয়ে।
  • প্রথমেই বলছি এটি সম্পুর্ন প্রো- ভার্সন তাই এর সর্বচ্চো ব্যবহার আপনারা করতে পারবেন সাথে সারা জীবন বিনামূল্যে সরাসরি আপডেট করতে পারবেন।
  • এন্টি ভাইরাস ও এন্টি ম্যলওয়ারের কাজ করতে পারবেন।
  • ব্যাটারি সেভার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন
  • টাক্সকিলার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন
  • ইন্টারনেট সিকিউরুটি হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন
  • আপনাকে কেউ টেক্সট মেসেজ বা ইমেইলের মাধ্যমে ভাইরাস পাঠাতে পারবেনা
  • ক্যাস মেমোরী ক্লিন করতে পারবেন
  • আপনার ডাটা ইউজ দেখতে ও নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন
  • আন-ইনস্টলার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন
  • এপ্স ব্যাকআপ নিতে পারবেন
  • কল ও মেসেজ ব্লকার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন
  • উইপার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন
  • এপ্স লক করে রাখতে পারবেন
  • আমার সব থেকে ভালো লাগা ফিচার মূলত যে কারনে আমি আপনাদের সাথে এপ্সটা শেয়ার করেছি তা হল এন্টি থেপ্ট- বা চোরের হাত থেকে আপনার ফোন রক্ষা করতে পারবেন। এখানে যেযে সুবিধা পাবেন তা হল.....
  • কেই আপনার ফোন চুরি করলে যে যে সিম ব্যবহার করবে তার সিরিয়াল নম্বর ও অপারেটর নেম আপনাকে ইমেইলে সয়ংক্রিয় ভাবে পাঠিয়ে দিবে
  • পরপর যে কেউ ৩ বার আপনার ফোনে ভূল প্যাটার্ন লক দিলে তার ছবি আপনাকে ইমেইলে সয়ংক্রিয় ভাবে পাঠিয়ে দিবে তবে তার জন্য আপনার সেটে ফ্রন্ট ক্যামেরা থাকতে হবে।
  • আপনি ইমেইলের মাধ্যমে আপনার চুরি যাওয়া ফোনের অবস্হান মেপের সাহায়ে পেয়ে যাবেন।
এবার চলুন বিস্তারিত জানি
এপ্স এর নাম- AVG AntiVirus Pro
Play Store এ এর মূল্য 14.99 ডলার
প্লে-স্টোর হতে কিনে নিতে এখানে ক্লিক করুন 
এপ্স টির সর্বশেষ ভার্ষন ফ্রি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন ( মিডিয়াফায়ার লিংক)
ডাউনলোড করেছেন তাহলে এবার ইনস্টল করে ফেলুন...........
কি করে ইনস্টল করবেন তা নিশ্চই দেখাতে হবে না। ইনস্টল হয়ে গেলে এপ্সটি ওপেন করুন
এপ্সটি ওপেন করলে একটিভ করতে বলবে চিত্রে দেখানো যায়গায় ক্লিক করে একটিভ করুন
এবার নিচের মত দেখতে পাবেন। যেহেতু আমি এই এপ্সটির এন্টি থেফ্ট এর ব্যাপারে  বেশি জোড় দিয়েছি তাই এখন এন্টি থেফ্ট একটিভ করা দেখাব
উপরের চিত্রের ন্যায় এন্টি থেপ্ট লেখাতে চাপুন। এবার নিচের মত স্ক্রিন পাবেন..
এখানে আপনার ইমেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এ ক্লিক করুন
আপনি সফল ভাবে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছেন। এখন এন্টি থেফ্ট অপশনে নিচের মত মেনু পাবেন
এখানে ক্যামেরা ট্রাপ এ টিক দিয়ে রাখুন । এবং নিচে পাসওয়ার্ড অপসন হতে একটি পাস ওয়ার্ড দিন এই পাসওয়ার্ড কি কাজে লাগবে তা পরে বলব। এতে করে যে পরপর তিন বার আপনার ফোনে ভুল প্যাটার্ন বা পিন দিবে ক্যামেরা গোপনে তার ছবি তুলে আপনার দেয়া মেইলে পাঠিয়ে দিবে। উদাহরন হিসাবে নিচের চিত্র দেখতে পারেন...অমি অন্ধকারে ছিলাম তাই ছবি খুব ভালো আসেনি।
আর আপনার সিম চেন্জ করলে নিচের মত তথ্য আসবে। এখানে অপারেটর ও সিমের সিরিয়াল নম্বর পাবেন। যার মাধ্যমে সহজেই চোরকে ধরা যাবে।
এবার এন্টি থেপ্ট এর এডভান্স সেটিং এ ক্লিক করুন নিচের চিত্রের মত অপশন পাবেন।
এখন চিত্র ১ এর চিহ্নিত অপশনে টিক দিলে নিচের চিত্র ২ এর মত অপশন পাবেন এখানে একটিভে ক্লিক করে রাখুন। এর ফলে আপনার এপ্স সহজে কেউ আনইনস্টল করতে পারবেনা ও এপ্স সম্পুর্ন সফল ভাবে তার কাজ চালাতে পারবে।
আপনার এন্টিথেফ্ট একটিভেশন সফল ভাবে সম্পন্ন হল।
পোষ্টের এক যায়গায় পাসওয়ার্ড দিতে বলেছিলাম চলুন এবার দেখি কি হবে এই পাসওয়ার্ড দিয়ে।
যদি আপনার ফোন হারিয়ে যায় তো আপনি এই পাসওয়ার্ড দিয়ে মেইল বা মেসেজের মাধ্যমেঃ
  • আপনার ফোনের এলার্ট মুড অন করতে পারবেন
  • আপনার ফোন এখন কোথায় আছে বা সর্বশেষ কোন স্হানে ওই ফোন ব্যবহার করা হয়েছিল তা জানতে পারবেন
  • আপনার ফোনের সকল ডাটা মুছে দিতে পারবেন
আপনি যখন ই মেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন তখন ওই মেইলে আপনাকে বিস্তারিত জানানো হবে কিভাবে আপনি উপরের কাজ গুলো করতে পারবেন।
এপ্সটির অন্যান্ন যেসব সুবিধার কথা বলা হয়েছে তা এপ্সটির পারফমেন্স অপশনে পাবেন। আশাকরি ওগুলো আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন
আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সবাই।
আমার ফেসবুক পেজ।।আমার ফেসবুক প্রফাইল।।আমার স্কাইপ আইডি>shakilsimul
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো অাছি।
আপনাদের সাথে একটা খুশির খবর শেয়ার করতে আসলাম। আমরা অনেকেই বহুদিন হল টেলিটক ব্যবহার করে আসছি কিন্তু এতদিন আমরা একটা সেবা হতে দূরে ছিলাম তা হল আমরা এতদিন বিকাশ, ডাচবাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি সেবা পাইনি। তবে আর চিন্তা নেই কারন আজ থেকে আমরা পাচ্ছি বিকাশ একাউন্ট করার সুবিধা।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক গ্রাহকেরা এখন থেকে বিকাশের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য ‘নেটওয়ার্ক শেয়ারিং’ চুক্তি করেছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এ চুক্তির ফলে টেলিটকের গ্রাহকেরা বিকাশ ওয়ালেটের মাধ্যমে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এতদিন শুধু গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা দিচ্ছে বিকাশ। তবে আজ থেকে এর সঙ্গে যুক্ত হলো আমাদের মত তরুনদের ফোন  টেলিটক। শুধু তাই নয় অতি দ্রুত আমরা বিকাশ হতে টেলিটকে ব্যালেন্স লোড করতে পারব বলে আশা করতেই পারি।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই চুক্তির ফলে আমাদের গ্রাহকেরা বিকাশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা ব্যবহার করতে পারবেন, যা এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা।
আর সেইসাথে অন্যান্ন ফাইন্যান্সিয়াল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানও টেলিটকের সাথে যুক্ত হবে দ্রুত সময়ে। তবে বিকাশ তাদের প্রথম অবস্হানটা নিশ্চিৎ করে ফেলল। তাহলে আর দেরি কেন যাদের টেলিটকে বিকাশ একাউন্ট দরকার তারা দ্রুত একাউন্ট করে ফেলুন।
>>>Facebook এ আমি<<< Skype ID- shakilsimul
টেকনোলজি বিষয়ক যেকোন প্রশ্ন করতে পারেন ফেসবুকে। আমার জানা থাকলে অবস্যই উত্তর দিব।
আর যারা এখানে কমেন্ট করতে পারেননা তারা ফেসবুকে কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহ প্রদান করতে পারেন।

Blog Archive

শাকিল আহম্মেদ শিমুল-দূরন্ত বালক. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Popular Posts

Recent Posts

Text Widget